রংপুরের বদরগঞ্জের চাঞ্ছল্যকর মনছুর আলী গেল্লু (৩৭) স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই খুন হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ১৪ মাস পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই খুনের কারণ উদঘাটন করেছে।
পুলিশ বলছে স্ত্রী এবং তার পরকীয়া প্রেমিক মিলে মনছুরকে বাড়িতে হত্যা করে পুকুরে লাশ ডুবিয়ে রেখে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার প্রচারণা চালায়। এ ঘটনায় পিবিআই স্ত্রী নাছিমা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক মোজাম্মেলকে গ্রেফতার করেছে।
পিবিআইএর রংপুর অফিস সূত্রে প্রকাশ, ২০১৭ সালের ৩ জুলাই বদরগঞ্জের বুড়িরপুকুরহাট পূর্বপাড়ার মৃত সোলায়মান আলীর পুত্র দিনমজুর মুনছুর আলী ওরফে গেল্লু (৩৭) নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ২ দিন পর ৫ জুলাই তার লাশ পার্শ্ববর্তী পুকুরে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামীদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা মনোয়ারা বেগম।
মামলার পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আবু হাসান কবির জানান, বদরগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তের সময়েই পিবিআই রংপুর অফিস মামলাটি স্ব-উদ্যেগে তদন্তভার গ্রহন করে তদন্ত অব্যাহত রাখে। এই মামলায় জড়িত সন্দেহে গাজীপুরের টঙ্গি এলাকা থেবে মোজাম্মেল ওরফে ডাল্লু (৫২) এবং নিহত মনছুরের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩৫) কে বদরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মনছুরের স্ত্রী নাছিমা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক মোজাম্মেল জানান, তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। এতে বাঁধ সেধেছিল মনছুর। তাই তারা তাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার দিন মনছুরকে মোজাম্মেলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাছিমা ও মোজাম্মেল মনছুরকে হত্যা করে লাশ পাশের পুকুরে বস্তাবন্দি করে ডুবিয়ে রাখে। এরপর তারা মনছুর নির্খোজ হয়েছে মর্মে প্রচারনা চালায়। কিন্তু দুই দিন পর লাশ ভেসে উঠায় তাদের সেই প্রচারনা ভেস্তে যায়। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল টঙ্গিতে পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন :
গোপালগঞ্জে মহিলা মাদককারবারিসহ গ্রেফতার ৩
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় রাজিয়া বেগম (৩০) নামে এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার নোয়াদা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অপর আসামীরা হলেন, আন্ত: জেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য ও মাদক কারবারি সাইফুল ইসলাম বাদশা (৩৫) ও সোহেল (২২)।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রাজিয়া বেগম ও সাইফুল ইসলাম বাদশা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। এদের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার চিলমারী গ্রামে। অপর আসামী সোহেল কোটালীপাড়া উপজেলার নোয়াদা গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম বাদশা মাদক ব্যবসায়ী ও আন্ত: জেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম একজন মাদক ব্যবসায়ী । এদেরকে নোয়াদা গ্রামের মাদক কারবারি সোহেলের বাড়ির পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের সময় এদের কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল, ২০ পিছ ইয়াবা, মোটরসাইকেলের ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়। সাইফুল ইসলাম বাদশার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডজন খানেকের মতো মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।